আমরা শখের বশে অনেকে বিড়াল পালি। খুব আদুরে স্বভাবের এবং পোষ মানে বলে পোষা প্রাণীর মধ্যে বিড়াল আমাদের প্রথম পছন্দ। আর তাকে অবশ্যই পরিবারের একজন সদস্য ভেবে আদর যত্নে রাখা উচিৎ। কারন আস্তে আস্তে সে আপনার উপর পুরোপুরিভাবে নির্ভর হয়ে যাবে। আর ঘরের বিড়ালকে রাস্তায় ছেড়ে দিলে প্রতিকুল পরিবেশে সে কখনোই বেঁচে থাকতে পারে না। তাই ভবিষ্যতে তার পুরো দায়িত্ব নিতে পারবেন কিনা তা ভেবে চিনতে বিড়াল কিনুন/দত্তক নিন।
সঠিকভাবে পালনের জন্য বিড়াল কেনার / দত্তক নেয়ার আগে কিছু জিনিস জানা খুবই জরুরী।
১) বিড়াল স্বভাবত স্বাধীন প্রকৃতির হলেও তাদের খুবই যত্নের প্রয়োজন। তাই আপনি সারাদিন অনেক ব্যস্ত থাকলেও ওদের জন্য কিছু সময় আপনাকে ব্যয় করতে হবে। তাই বিড়াল পোষার আগে আপনি নিশ্চিত হয়ে নিবেন যে আপনি তাদের সময় দিতে পারবেন কিনা।
২) অবশ্যই পরীক্ষা করে দেখতে হবে যে আপনার বিড়ালে এলার্জি (cat allergy) আছে কিনা।
৩) আপনার পরিবারের সবাই বিড়াল পছন্দ করে কিনা এবং সবার সম্মতি আছে কিনা তা জেনে নিতে হবে।
৪) আপনার ঘরবাড়ি কি cat proof কিনা তা নিশ্চিত হতে হবে। অনেকে নিচতলায় খোলামেলাভাবে বিড়াল পোষে আবার অনেকে উপরতলায় ঘরের মধ্যে। আপনার বাড়িটি যদি উপরতালায় হয়ে থাকে তাহলে বারান্দা/জানালায় জাল লাগিয়ে দিতে হবে যাতে বিড়াল নিচে পড়ে গিয়ে দুর্ঘটনা না ঘটে।
৫) বিড়ালকে নির্দিষ্ট একস্থানে টয়লেট করানোর অভ্যাস করা যায়।তাই কোনও জায়গায় litter box এর ব্যবস্থা করে দিতে হয় এবং তা নিয়মিত পরিষ্কার করতে হয়। একটি গামলায় অথবা litter box এর ভেতরে বালি, কাগজের টুকরা অথবা litter (কিনতে পাওয়া যায়) নির্দিষ্ট স্থানে দিয়ে রাখুন এবং তাকে potty train করুন।
৬) চারমাসের বড় বিড়ালকে অবশ্যই vet পশু চিকিৎসকের দ্বারা Spay/ Neuter করে নিতে হবে। এটা না করালে বিড়াল কিছুদিন পরপর heat এ আসবে এবং তখন অস্বাভাবিক আচরণ শুরু করবে। Spay/ Neuter করলে বিড়াল আর বাচ্চা দিতে পারে না এবং এদের জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রনে থাকবে।
৭) বিড়ালের জন্য সঠিক পরিমানে খাবার ও পানি সরবরাহ করতে হবে। বিড়ালের বয়স ১ মাসের কম হলে লিকুইড খাবার এবং ১ মাসের বেশি হলে সেদ্ধ করা মাছ, মাংস(মসলা ছাড়া) ভাতের সাথে মিশিয়ে খাওয়াতে হবে। এছাড়া বিড়ালের খাবার হিসেবে বিভিন্ন ব্র্যান্ডের Cat Food এখন অনেক জনপ্রিয় ।
৮) বিড়াল খেলতে অনেক ভালবাসে। তাকে পর্যাপ্ত খেলনা (Cat toy) ও খেলাধুলার ব্যবস্থা করে দিতে হবে। বাড়িতে অন্য বিড়াল কুকুর থাকলে প্রথমে ভয় পাবে। তবে ৩-৪ দিনের মধ্যে তারা বন্ধু হয়ে যাবে এবং এক সাথে খেলাধূলা করবে।
৯) বিড়ালের যাতে রোগ না হয় এবং তা যেন মানুষের না হয় সে জন্য পশু চিকিৎসকের দ্বারা নিয়মিত check-up করাতে হবে ও সময়মত vaccine / টিকা দিতে হবে।
১০) নতুন স্থানে এসে বিড়ালের সেই পরিবেশে নিজেকে মানিয়ে নিতে একটু সময় লাগে। রাতে জেগে থাকে, না খেয়ে থাকা, না ঘুমানো, কান্নাকাটি করা, বাইরে চলে যেতে চাওয়া ইত্যাদি বিভিন্ন সমস্যা দেখা দেয়। আবার অনেক বিড়ালের মধ্যে থেকে আসলে সে একাকীত্ব অনুভব করবে। কিন্তু ১০-১৫ দিনের মধ্যে সে নিজেকে নতুন পরিবেশের সাথে মানিয়ে নেয়। আর তাই ধৈর্য ধারন করুন। এই বিড়ালটি কিছুদিনের মধ্যে আপনার প্রকৃত বন্ধু হয়ে উঠবে।
আপনারা আনেক helpful. অসংখ্য ধন্যবাদ।
ভাই,আমি ত কিশোর,তাহোলে আমিতো বিড়াল পোষবো,কিন্তু তারা আমাকে ভয় পায় কেন,তাহলেতো আমি বিড়াল পোষতে পারবো না,কমেন্ট করে জানান যে কেন ভয় পায় বিড়াল।
Ekjater biral ache Tara shob manushkei onek voy pay , taderke vhalo ba mojar Khabar din, jei Khabar biral pochondo Kore , r khabarer shomoy ador korar chesta koren
রাতে ঘুমানোর জন্য বিড়ালের জন্য কি ব্যবস্থা?
বিড়ালের আচড় এর ব্যপারে কিছু বলেন
অনেক অনেক ধন্যবাদ… 🙂🙂