স্বাভাবিকভাবে কুকুর শরীরের বিভিন্ন জায়গা চুলকায়। কিন্তু মাঝে মাঝে কিছু কারনে এই চুলকানি অস্বাভাবিকভাবে বেড়ে যায়। তখন কারণটি নির্ণয় করে তার প্রতিকার করা জরুরী।
১) Fleas বা ছোট পোকা বিশেষ – এটি প্রায় অনেক কুকুরের গায়েই দেখা যায়। ছোট ছোট কালো অথবা বাদামি রঙের এই পোকা লোমের মাঝে দৌড়াতে থাকে এবং যা সহজে হাত দিয়ে ধরা যায় না। শরীরের যেখানে লোম বেশি থাকে যেমন লেজের গোঁড়া, ঘাড়, পেট এসব জায়গায় এরা ডিম পেড়ে বংশবৃদ্ধি করে। এরা কুকুরের গায়ের রক্ত খেয়ে বেঁচে থাকে।
২) Mange বা খোস পাঁচড়া – এটি এক ধরনের চর্মরোগ। এক ধরনের পরজীবীর আক্রমণে এই রোগ হয়। এর ফলে আক্রান্তস্থানের সবলোম পড়ে যায়। এটি দুই ধরনের হয়ে থাকে Sarcoptic ও Demodectic। Demodectic সংক্রামকরোগ নয় এবং এটি চুলকায় কম। Sarcoptic পশু থেকে মানুষের মধ্যে ছড়াতে পারে এবং এটি মারাত্মকভাবে চুলকায়।
৩) Ear Mites বা কানের পরজীবী – কুকুরের কানে এক ধরনের পরজীবী বাসকরে যাদেরকে খালি চোখে দেখা যায় না। এটা সংক্রামিত হয় এক কুকুর থেকে অন্য কুকুরের মাঝে। কিন্তু সবসময় কানের চুলকানির কারন এই পরজীবী নাও হতে পারে।
৪) Dry Skin বা শুষ্কত্বক – অনেক সময় পরিবেশের কারনে, অনেক সময় পুষ্টি অথবা খাদ্যের কারনে ত্বকশুষ্ক হয়ে চুলকানির কারন হয়। উকুন এবং খুসকি হলেও এমন হতে পারে। কিন্তু কুকুরের খুসকি মানুষের মাঝে ছড়ায় না।
৫) Puppy Pyoderma বা বাচ্চা কুকুরের চুলকানি – এক ধরনের ব্যাকটেরিয়ার আক্রমণে কুকুরের গায়ে ছোট ছোট লাল রঙের দানা দেখা দেয় যা দেখতে অনেকটা ব্রনের মত। এটি সাধারনত বাচ্চা কুকুরের গায়ে বেশি দেখা দেয় যাতে প্রচণ্ড জ্বলুনি এবং চুলকানি হয়।