খাদ্য দ্বারা প্রভাবিত কুকুরের ৫টি সাধারন রোগ
উন্নতমানের ও সুষমখাদ্য আপনার কুকুরের জন্য অপরিহার্য। অতিরিক্ত পরিমান, অল্পপরিমান ও নিম্নমানের খাদ্য কুকুরের জীবনের জন্য হুমকিস্বরূপ। পশু চিকিৎসকের সাথে পরামর্শ করে কুকুরকে সঠিক পরিমানে চর্বিজাতীয় , আমিষজাতীয়, ক্যালশিয়াম ও ফসফরাসযুক্ত ও অন্যান্য পুষ্টিযুক্ত খাবার খাওয়াতে হবে। জেনে নিন ৫টি সাধারন রোগ সম্পর্কে যা শুধু খাবারের দ্বারা প্রভাবিত হয়।
১) Obesity অথবা স্থুলতা – বয়স ও উচ্চতা অনুযায়ী অতিরিক্ত ওজন কুকুরের স্বাস্থ্যর পক্ষে ক্ষতিকর। বয়স্ক কুকুরের মাঝে স্থুলতা বেশি দেখা যায়। এর ফলে ডায়াবেটিস, উচ্চরক্তচাপ, ক্যানসার ইত্যাদি রোগ দেখা দেয়। ভালমানের খাবার ও সঠিক পরিমানে খাবারের মাধ্যমে এ রোগ প্রতিরোধ করা সম্ভব।
২) Pancreatitis অথবা অগ্নাশয়ের স্ফীতি ও প্রদাহ – pancreas বা অগ্নাশয় অতিরিক্ত উত্তপ্ত হওয়ার ফলে এই রোগের সৃষ্টি। এর ফলে পেটে প্রচণ্ড ব্যথা হয়, বিশেষ করে খাবারের পর এই ব্যথা বেড়ে যায়।
৩) Bladder Stones অথবা মুত্রথলিতে পাথর – মুত্রথলিতে পাথর প্রথমে ছোট থাকে এবং পরবর্তীতে আস্তে আস্তে আকারে বড় হয়। প্রস্রাবের রঙ পরিবর্তন দেখে এই রোগ নির্ণয় করা হয়। ক্যালশিয়াম ও ফসফরাসযুক্ত খাবার এই রোগ প্রতিরোধ এর সহায়ক।
৪) Heart Disease অথবা হৃদরোগ – প্রতিবছর হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে অনেক কুকুর মারা যায়। খাবারে অতিরিক্ত সোডিয়াম থাকার কারনে blood pressure বেড়ে গিয়ে কুকুর হৃদরোগে আক্রান্ত হয়। তাই অতিরিক্ত সোডিয়ামযুক্ত খাবার খাদ্যতালিকা থেকে বাদ দিতে হবে।
৫) Diarrhea অথবা ডায়রিয়া – ডায়রিয়া দুই ধরনের। আঁশযুক্ত খাবার এক ধরনের ডায়রিয়া প্রতিরোধ করে এবং সহজে হজম হয় এমন খাবার অন্য ধরনের ডায়রিয়া প্রতিরোধ করে।