Blog, Cat, Cat Diseases

বিড়ালের কাশি

cough-in-cats

অনেক সময় বিড়ালকে কাশতে দেখা যায়। অনেক সময় থেমে থেমে কাশি দেয় আবার কখনো দীর্ঘসময় ধরে কাশে। এই কাশি বিভিন্ন কারনে হতে পারে। যেমন :
কারনঃ
১. শ্বসন অঙ্গের রোগগুলো যেমনঃ টিউমার, ইনফেকশন(ভাইরাল, ব্যাকটেরিয়া অথবা প্যারাসাইটিক)
২. অ্যাসপিরেশন নিউমোনিয়া(শ্বসন অঙ্গে এ পাকস্থলীর এর কোনো কিছু চলে আসা অথাবা খাদ্য গ্রহনের সময় কিছু চলে আসা্‌
৩. শ্বসন অঙ্গে বাহিরের কিছু প্রবেশ করা, যেমন – হেয়ার বল
৪. এল্যার্জী
৫. হৃদযন্ত্রের কোন রোগ
৬. গলায় আঁটসাট বেল্ট পড়ানো থাকলে।

কাশি যদি কোন রোগের কারনে হয় তবে এই লক্ষনগুলো দেখা যায় :

১. কাশির সাথে তন্দ্রাভাব, চোখ লাল হয়ে চোখে পানি আসা।
২. ঘাড় বাড়িয়ে গভীর এবং হঠাৎ কাশির আক্রমনের সাথে কফ হলে দীর্ঘকালস্থায়ী ব্রঙ্কাইটিসের লক্ষন।
৩. গড়গড় শব্দ সহ হঠাৎ কাশি এবং শ্বাস নিতে কষ্ট হলে এজমার লক্ষন।
৪. বিক্ষিপ্ত কাশির সাথে ওজন কমে যাওয়া, অবসন্যতা এবং ক্ষুদামন্দা কৃমি ও ফাঙ্গাস দ্বারা আক্রান্ত রোগের কারন।
৫. চলাফেরার পর শ্বাসনালির সংকোচন তীব্র ব্রঙ্কাইটিসের কারন।
৬. কার্ডিওমাইওপথির মত হৃদযন্ত্রের কোন রোগের জন্যও কাশি হতে পারে।
৭. ব্রঙ্কিউল টিউবের জলুনি।
৮. কফ শুকিয়ে যাওয়া।

চিকিৎসাঃ

যদি আপনার বিড়াল খুব বেশী অসুস্থ হয় তাহলে তাকে hospitalized করতে হবে তার নিবিড় যত্ন ও চিকিৎসার জন্য। যেসব বিড়ালের শ্বাস-প্রশ্বাসের কষ্ট থাকবে তাদেরকে অক্সিজেন দেয়া, কমন ইনফেকশনগুলোর জন্য প্রয়োজনীয় এন্টিবায়োটিক ব্যবহার করা, চিকিৎসক ডায়াগনসিস করার পর প্রয়োজনে কাশি বন্ধ করার মেডিসিন দিবে যা শ্বসন অঙ্গের ইনফেকশনের জন্য কাজ করবে না। আমাদেরকে মনে রাখতে হবে বিড়ালের কাশি বন্ধ করাটা প্রধান কাজ না, প্রধান কাজটা হলো কোন রোগের কারনে কাশি হচ্ছে তা খুঁজে বের করে ট্রিটমেন্ট করা। যখন বিড়ালের কাশি হবে তখন এরোসল, এয়ার ফ্রেশনার, কয়েল, সিগারেটের ধোঁয়া, ডাস্ট থেকে বিড়ালকে দূরে রাখতে হবে। তবে কোনো ঔষধই চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া দেয়া যাবে না।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *