কুকুরের দাঁতের যত্ন
ব্যাকটেরিয়াযুক্ত খাবার, অতিরিক্ত শক্ত হাড় চিবানো, পুষ্টির অভাবের কারনে কুকুরের দাঁত ও মাড়ি অনেক রোগে আক্রান্ত হয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। আর তাই কুকুরের দাঁত ও মাড়ির সঠিক পরিচর্যার প্রয়োজন। এর মাধ্যমে দাঁত ও মাড়িকে রোগমুক্ত রাখা যায়। নিয়মিত দাঁতের যত্নে কিছু নিয়ম দেওয়া হল-
১) নিঃশ্বাস পরীক্ষা – নিঃশ্বাসে দুর্গন্ধ মুখের রোগের সবচেয়ে প্রধান লক্ষন। নিয়মিত লক্ষ্য রাখতে হবে যে কুকুরের নিঃশ্বাসে দুর্গন্ধ আছে কিনা।
২) দাঁত এবং মাড়ি পরীক্ষা – কুকুরের কোনো দাঁত ভাঙ্গা কিনা, মাড়ি ফোলা অথবা রক্ত বের হয় কিনা, মুখ থেকে লালা ঝরে কিনা এসব খেয়াল করতে হবে।
৩) দাঁতের রোগের লক্ষন দেখা – টিউমার অথবা ঘা দেখা এবং বিভিন্ন দাঁতের রোগের লক্ষন দেখা যায় কিনা নিয়মিত পরীক্ষা করতে হবে।
৪) দাঁত পরিষ্কার রাখা – দাঁতের গোঁড়ায় ব্যাকটেরিয়া বাসা বাঁধে এবং plaque জমে যা শক্তভাবে লেগে থাকে দাঁতের সাথে এবং মারাত্মক রোগের সৃষ্টি করে। তাই নিয়মিত ব্রাশ করে দাঁত পরিষ্কার রাখতে হবে।
৫) Tooth-Brushing Kit ব্যাবহার – বিভিন্ন দোকানে Tooth-Brushing Kit কিনতে পাওয়া যায় যাতে দাঁত পরিষ্কার রাখার সব আধুনিক যন্ত্রপাতি একসাথে থাকে।
৬) দাঁতের রোগ সম্পর্কে ভালোভাবে জানা – Periodontal Disease, Gingivitis, Swollen gums ইত্যাদি কুকুরের দাঁতের খুব পরিচিত রোগ। তাই এই রোগের লক্ষন সম্পর্কে জানতে হবে এবং তা যদি দেখা যায় অতি দ্রুত ডাক্তারের পরামর্শে চিকিৎসা শুরু করতে হবে।
৭) নিয়মিত ডাক্তার check-up – মাসে অন্তত একবার অথবা তিন মাসে একবার পশু চিকিৎসককে দিয়ে দাঁত check-up করানো জরুরি। এতে কোনও রোগ থাকলে তা সহজে ধরা পরবে।
৮) ভালমানের Dog Food খাওয়ানো – কুকুরকে ভালো মানের Dog Food খাওয়াতে হবে এবং তাতে ক্যালসিয়ামযুক্ত আছে কিনা তা নিশ্চিত হতে হবে। বেশি শক্ত হাড় খেতে দেওয়া যাবে না। এটা কুকুরের দাঁতের এবং মাড়ির পক্ষে ক্ষতিকর।
৯) ভালোমানের খেলনা হাড় – অনেকে কুকুরকে চিবানোর জন্য রাবারের খেলনা হাড় কিনে দেয়। খেয়াল রাখতে হবে যে খেলনাটি ভালমানের রাবার/ প্লাস্টিক দিয়ে তৈরি কিনা এবং দাঁতের কোনো ধরনের ক্ষতি না করে।