Grooming বলতে সাধারনত পরিষ্কার পরিছন্ন রাখার জন্য যত্নকে বোঝায়। কুকুরকে স্বাস্থ্যবান ও রোগ- জীবাণুমুক্ত রাখার জন্য grooming করা অত্যন্ত প্রয়োজনীয়। সব বয়সের, সবজাতের কুকুরের grooming করা জরুরী।
প্রয়োজনীয়তা –
১) এটা চর্মরোগ, ভাইরাস ও ব্যাকটেরিয়াজনিত রোগ থেকে মুক্ত রাখে।
২) সাধারন পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা।
৩) এর ফলে কোনও অসুখ, ক্ষত, ভাঙ্গা সহজে চোখে পরে এবং চিকিৎসা করা সহজ হয়।
৪) কুকুর এবং মালিকের মধ্যে সুসম্পর্ক তৈরি হয়।
৫) কুকুরের গায়ে উকুন ও পোকা বংশবৃদ্ধি করতে পারে না।
Grooming পদ্ধতি –
১) গোসল – কুকুরকে নিয়মিত গোসল করাতে হয়। কুকুর গোসল করতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করে। কুকুরের জন্য Dog শ্যাম্পু পাওয়া যায়। শ্যাম্পু লাগানোর পরে ভালভাবে ফেনা ধুয়ে ফেলতে হবে। শীতকালে হালকা গরম পানি দিয়ে কুকুরকে গোসল করাতে হয়। তারপর তোয়ালে দিয়ে ভালভাবে পানি মুছে গা শুকিয়ে ফেলতে হবে।
২) লোম trimming & cutting – Trimming & Cutting নির্ভর করে কুকুরের জাতের উপর। বেশি, কম, লম্বা, খাটো লোমওলা বিভিন্ন জাতের কুকুরের লোম বিভিন্নভাবে কাঁটা হয়। এটা পোকা মুক্ত রাখে এবং কুকুরের লোম কমিয়ে শরীরকে ঠাণ্ডা রাখে। কিছু কুকুরের লোম খুব দ্রুত বড় হয়। এদেরকে অবশ্যই নিয়মিত লোম trimming করে রাখতে হয়, না হলে তাদের চলাচলেও সমস্যা হয়।
৩) Combing অথবা আঁচড়ানো – আঁচড়ানোর মাধ্যমে কুকুরের শরীরের আলগা লোম পড়ে যায়। আলগা লোমগুলো জট হয়ে যায় তাই এইগুলো ফেলে দেওয়া খুব জরুরী। এতে করে লোমের ভেতর পোকাও কম হয়ে থাকে।
৪)Trimming অথবা নখ কাঁটা – নখ কাঁটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। প্রতিমাসে অন্তত একবার নখ কাটতে হবে কারন বেশি বড় হয়ে নখ বেঁকে যায় এবং কুকুর হাটার সময় ব্যথা পায়। নখ বড় হলে রোগজীবাণু আঁটকে থাকে। কিন্তু খুব সাবধানে নখ কাটতে হবে কারন বেশি পরিমানে কাটলে রক্তক্ষরণ হয় তাই অভিজ্ঞ মানুষ দিয়ে নখ trimming করতে হবে অথবা nail clipper কিনে তা দিয়ে কাটতে হবে।
এখন বিভিন্ন পশু চিকিৎসকের chamber এ Grooming করার ব্যবস্থা থাকে। এখন বিভিন্ন দোকানে grooming এর জিনিসপত্র যেমন- শ্যাম্পু, চিরুনি, বিভিন্ন সাইজের ব্রাশ, নখ কাঁটার মেশিন, কাঁচি, trimming মেশিন পাওয়া যায়। নিয়মিত grooming আপনার প্রিয় কুকুরকে সুস্থ রাখতে সাহায্য করবে। তাই কুকুর পালনে এটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা রাখে।