যেহেতু আমাদের দেশের আবহাওয়া গরম এখানে হিটস্ট্রোক সাধারন একটি সমস্যা। কুকুরের লোম ঠাণ্ডা আবহাওয়ার জন্য উপযোগী কিন্তু গরমের জন্য এটা অনেক সমস্যা। কারন শরীরকে ঠাণ্ডা রাখার জন্য কুকুর শুধুমাত্র পায়েরতলা দিয়ে ঘাম নিঃসরণ করে যা অনেক তাপ কমানোর জন্য পর্যাপ্ত নয়। তাই অতিরিক্ত গরমে শরীরে বেশি তাপ জমে কুকুর হিটস্ট্রোক করে।
হিটস্ট্রোক এর লক্ষন্সমুহ –
১) জোরে জোরে শ্বাস নেওয়া,
২) চুপ করে একস্থানে শুয়ে থাকা,
৩) হার্টবিট বেড়ে যাওয়া,
৪) শরীরের তাপমাত্রা ১০৩ ° F অথবা তারচেয়ে বেশি হয়ে যাওয়া,
৫) বমি করা,
৬) অদ্ভুত আচরণ করা,
৭) শরীরে কাঁপুনি হওয়া,
৮) প্রসাব বন্ধ হয়ে যাওয়া
হিটস্ট্রোক হলে করণীয় –
১) কুকুরের সারা শরীরে ঠাণ্ডা পানি দিয়ে গোসল করাতে হবে
২) বিশেষ করে ঘাড় ও মাথায় বরফ ঘষে দিতে হবে
৩) কুকুরের পা ম্যাসেজ করে দিতে হবে
৪) যতটুকু সম্ভব ঠাণ্ডা পানি পান করাতে হবে
৫) অবস্থার পরিবর্তন না হলে ডাক্তারের কাছে নিয়ে যেতে হবে
হিটস্ট্রোক থেকে বাঁচাতে হলে-
১) কুকুরের ঘর ঠাণ্ডা জায়গায় বানিয়ে দিতে হবে
২) ঘরে বাতাস চলাচলের ব্যবস্থা করে দিতে হবে
৩) গরমকালে নিয়মিত গোসল করাতে হবে
৪) পানির পাত্রে সবসময় পানি দিয়ে রাখতে হবে
৫) বেশি গরমে খেলাধুলা কম করাতে হবে