কুকুরের সুস্বাস্থ্যের জন্য খাবারের তালিকা
সাধারনত গৃহপালিত কুকুর মাংসাশী হয়ে থাকে এবং তারা প্রায় সব ধরনের খাবার খায়। কিন্তু বন্য কুকুরেরা তাদের নিজেদের শিকার করা অন্য পশু পাখির মাংস, হাড়, বিভিন্ন অঙ্গ প্রতঙ্গ এবং হজমকৃত উদ্ভিজ্জ খায়। যদিও কুকুর মাংসাশী প্রাণী, তারা খুব সামান্য পরিমানে উদ্ভিজ্জ খাবার গ্রহণ করে থাকে ঐ শিকার করা প্রাণী হজমের জন্য।
- সঠিক পরামর্শের জন্য Vet এর সাথে কথা বলুন।
- কুকুরের বয়স এবং ওজন অনুযায়ী উন্নতমানের Dry Food অথবা Canned Food খাওয়ান। প্রক্রিয়াজাতকৃত এই খাবারে সঠিক পরিমানে পুষ্টি বিদ্যমান। বাজারে এবং বিভিন্ন online shop এ বিভিন্ন ব্র্যান্ডের এবং বিভিন্ন ফ্লেভারের কুকুরের খাদ্য পাওয়া যায়। তবে খাবারের প্যাকেটের গায়ে মেয়াদউত্তীর্ণ তারিখ দেখে কিনুন এবং premium খাবার খাওয়ানোর চেষ্টা করুন।
- Natural খাবার খাওয়ান। যেমনঃ মাংস (গরু, মুরগি, ভেড়া ইত্যাদি) , ডিম, হাড় এবং বিভিন্ন উদ্ভিজ্জ খাবার।
- যদি আপনার কুকুরের দাঁতে অথবা মাড়িতে কোন সমস্যা থাকে তবে তাকে হাড় খেতে দিবেন না। হাড় থেকে বিভিন্ন মাড়ি এবং দাঁতের অসুখ হতে পারে। বেশি হাড় খেলে কোষ্ঠকাঠিন্য হতে পারে এবং হাড়টি বড় হতে হবে যাতে পুরো হাড়টি মুখে না ঢুকাতে পারে।
- মাঝে মধ্যে treat হিসেবে বিভিন্ন canned মাছ যেমনঃ sardines, tuna, salmon ইত্যাদি খাওয়ানো যায়।
- মাঝে মাঝে অল্প পরিমানে সেদ্ধ করা সবজি যেমনঃ মিষ্টিকুমড়া, গাজর, ব্রকলি ইত্যাদি খাওয়ানো যায়।
- সেদ্ধ করা মাংসের সাথে (মশলা, পেয়াজ, রসুন ছাড়া) ভাত অথবা পাস্তা মিশিয়ে কুকুরকে খাওয়ানো যায়।
- কুকুরকে মাঝেমধ্যে ঘাস খেতে দিন যা সবজির বিকল্প হিসেবে কাজ করে এবং হজমে সাহায্য করে। ক্যামিকেলযুক্ত এবং বিষাক্ত উদ্ভিদ থেকে সাবধান থাকুন।
- খাবারের পরিমান নির্ভর করে কুকুরের আকার, জাত, বয়স, ওজন, ব্যায়াম ইত্যাদি অনুযায়ী। তবে লক্ষ্য রাখতে হবে যে অতিরিক্ত খাবার অথবা খুব অল্প পরিমানে খাবার খাওয়ানো যাবে না।
- পূর্ণ বয়স্ক কুকুরকে প্রতিদিন দুইবার খাওয়াতে হবে। খাওয়ার ঠিক আগে এবং ঠিক পরে ব্যায়াম ও হাঁটা উচিৎ নয়।
- অবশ্যই সবসময় পরিষ্কার দিয়ে রাখতে হবে।
- কুকুরকে যা খাওয়ানো উচিৎ নয় (কুকুরের জন্য বিষাক্ত) এমন কিছু খাবার হল- পিয়াজ, রসুন, চকলেট, কফি ও ক্যফেইন, এভাকাডো ফল, কাঁচা আটা, ইস্ট, আঙ্গুর, কিশমিশ, বাদাম, ফলের বিচি বা দানা যেমন-আমের আটি, এভাকাডো ফলের দানা, কাঁচা টমেটো, মাশরুম, প্রতিদিন মাছ, ছোট হাড়, Xylitol(বিভিন্ন খাবারে চিনির বদলে ব্যবহৃত হয়), চুইঙ্গাম, টুথপেস্ট ইত্যাদি।