Grooming কে বিড়াল ও আপনার – দুইজন এর জন্য উপভোগ্য করে তুলতে হবে। বিড়ালের grooming এর সবচেয়ে ভালো সময় হতে পারে ওর খাবারের পর, কারন ওইসময় ওদের mood ভালো থাকে। আরেকটি বিষয় খেয়াল রাখতে হবে। ওদের grooming সময় নিয়ে এবং ধৈর্য নিয়ে করতে হয়। তাই যেদিন আপনি অনেক বেশি ক্লান্ত থাকেবন, সেদিন grooming না করাই ভালো।
Grooming পদ্ধতি –
১) আঁচড়ানো / Brushing –
আপনার বিড়ালের লোম যদি হয় ছোট ছোট, তাহলে যেভাবে আঁচড়ে দিবেন –
– প্রথমে একটি metal চিরুনি দিয়ে বিড়ালের মাথা থেকে লেজ পর্যন্ত আঁচড়ে দিতে হবে।
– তারপর rubber চিরুনি দিয়ে আলগা লোমগুলো আঁচড়ে পরিস্কার করতে হবে।
– বিড়ালের বুক এবং পেটের দিকে আঁচড়ানোর সময় একটু সাবধানে আঁচড়ে দিতে হবে।
আপনার বিড়ালের লোম যদি হয় বড় বড়, তাহলে যেভাবে আঁচড়ে দিবেন –
– প্রথমে বিড়ালের পেট এবং পায়ের অংশ আঁচড়ে দিতে হবে। কোন জট থাকলে ধীরে ধীরে সেটা ছাড়িয়ে দিতে হবে।
– তারপর নিচের দিক থেকে উপরের দিকে rubber এর চিরুনি দিয়ে আঁচড়ে দিতে হবে।
– বিড়ালের লেজ আঁচড়ে দেয়ার সময় লেজের ঠিক মাঝ বরাবর ভাগ করে দুই দিকে আঁচড়ে দিতে হবে।
২) গোসল করানো / Bathing –
গোসল করানোর পদ্ধতি –
– প্রথমে লোমগুলো আঁচড়ে দিতে হবে যেন কোথাও গিঁট বেঁধে না থাকে।
– যেখানে গোসল করাবেন সেখানে নিচে একটি রাবার প্যাড দিয়ে নিতে হবে। রাবার প্যাড এ ওদের পা পিছলে যাবেনা। সেক্ষেত্রে আপনার বিড়াল অনেক বেশি স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করবে। রাবার প্যাড না থাকলে একটি মোটা চটের টুকরা দিয়ে নিতে পারেন।
– এরপর যে tub বা গামলা তে গোসল করাবেন, সেখানে ৪-৫ ইঞ্চি উঁচু করে কুসুম গরম পানি নিবেন।
– বিড়ালকে পানিতে বসিয়ে ছোট মগ দিয়ে আস্তে আস্তে পানি ঢালবেন শরীরে। সবচেয়ে ভালো হয় হ্যান্ড ওয়াশার দিয়ে পানি দিলে। তাহলে নিয়ন্ত্রন রাখতে সুবিধা হয়। খেয়াল রাখবেন যেন কানে, নাকে বা চোখে পানি না ঢুকে যায়।
– এরপর শ্যাম্পু নিয়ে মাথা থেকে লেজ পর্যন্ত পুরো শরীরে মেসেজ করে লাগিয়ে দিন।
– তারপর ধুয়ে দিন যেন কোন ফেনা না থাকে। ফেনা থাকলে পরবর্তীতে ওদের শরীর চুলকায় এবং অস্বস্তি বোধ করে।
– সবশেষে একটি শুকনো তয়লা দিয়ে মুছে দিন। শীতের দিনে বিড়ালকে গোসল না করানোই ভালো। তারপরও করাতে হলে সাথে সাথে Hair Dryer দিয়ে শুকিয়ে দিতে হবে।
৩) নখ কাটা / Trimming –
নখ কাঁটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। প্রতিমাসে অন্তত একবার নখ কাটতে হবে কারন বেশি বড় হয়ে নখ বেঁকে যায় এবং বিড়াল হাটার সময় ব্যথা পায়। নখ বড় হলে রোগজীবাণু আঁটকে থাকে। কিন্তু খুব সাবধানে নখ কাটতে হবে কারন বেশি পরিমানে কাটলে রক্তক্ষরণ হয় তাই অভিজ্ঞ মানুষ দিয়ে নখ trimming করতে হবে অথবা nail clipper কিনে তা দিয়ে কাটতে হবে।
বাসায় নখ কাটলে যা যা মনে রাখতে হবে –
– অবশ্যই ধারালো Nail Clipper ব্যাবহার করতে হবে।
– নখ যেখান থেকে বাঁকানো শুরু করে সেখান থেকে কাটতে হবে। নখের ভেতরে গোলাপি রঙের একটি জায়গা দেখা যায়। নখ কাটার সময় অবশ্যই ওই অংশের পর থেকে কাটতে হবে, নতুবা রক্তক্ষরণ শুরু হতে পারে।
৪) লোম কাটা / Trimming –
– Trimming & Cutting নির্ভর করে বিড়ালের জাতের উপর। বেশি, কম, লম্বা, খাটো লোমওলা বিভিন্ন জাতের বিড়ালের লোম বিভিন্নভাবে কাঁটা হয়। এটা পোকা মুক্ত রাখে এবং বিড়ালের লোম কমিয়ে শরীরকে ঠাণ্ডা রাখে। কিছু বিড়ালের লোম খুব দ্রুত বড় হয়। এদেরকে অবশ্যই নিয়মিত লোম trimming করে রাখতে হয়, না হলে তাদের চলাচলেও সমস্যা হয়।