একটি বাচ্চা কুকুরের ২-৩ সপ্তাহের মধ্যে দাঁত ওঠা শুরু হয়। ৮ সপ্তাহের মধ্যে বাচ্চা কুকুরের দুধ দাঁত পরে স্থায়ী দাঁত উঠতে শুরু করে। এটি তার একটি খারাপ সময় কারন এই সময় সে মাড়িতে irritation অনুভব করে এবং সেই সময়ে সে সব কিছু চাবাতে এবং কামড়াতে চায়। তখন বিভিন্ন সমস্যার হাত থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য কিছু নিয়মকানুন মেনে চলতে হয়।
Chew toy দিতে হবে:
কুকুরের দাঁত উঠার সময় তার কামড় ও চাবানতে আপনার বাসার কাগজ, কুশন, সোফা ও বিভিন্ন আসবাবপত্র নষ্ট হতে পারে। আর তাই এসব জিনিসের সুরক্ষার জন্য বাচ্চা কুকুরের উপযোগী কোন নরম চর্বণযোগ্য খেলনা তাকে দিতে হবে। আজকাল বিভিন্ন online shop এ এই ধরনের খেলনা কিনতে পাওয়া যায়। এসব খেলনা তাদের মাড়ির ওপর বল প্রয়োগ করে এবং তারা আরাম পেয়ে থাকে। মনে রাখতে হবে খেলনাটি খুব শক্ত ও খুব নরম যাতে না হয় কারন এতে করে দাঁত ওঠার দিক বদলে যায়। ঘরে তৈরি দড়ি দিয়ে বানানো খেলনাও ওদের জন্য ভালো।
Chew toy টি ঠাণ্ডা করে দিন:
কুকুরের chew toy টি যদি ঠাণ্ডা বা হিম করে দেওয়া হয় তবে সে আরও পছন্দ করবে। বাচ্চা কুকুরটিকে খেলনা দেওয়ার আগে রেফ্রিজারেটরে রেখে খেলনাটি ঠাণ্ডা করে দেওয়া ভালো। এই ঠাণ্ডা খেলনাটি মাড়িকে শীতল করে এবং তার খেলনাটির প্রতি আগ্রহ আরও বেড়ে যায়। এটা অবশ্যই তার দাঁত ওঠার ব্যথা অনেকাংশে কমাবে।
ঠাণ্ডা খাবার যেমন বিভিন্ন ফল খেতে দিতে হবে:
আমরা জানি যে ঠাণ্ডা খাবার শরীরের ব্যথা কমাতে সাহায্য করে। তাই ঠাণ্ডা খাবার যেমন ঠাণ্ডা ফল এসময় অনেক সহায়ক খাবার। এটি মাড়ির ব্যথা কমানোর সাথে সাথে ভিটামিন ও সরবরাহ করবে। মাঝে মাঝে বরফ দেওয়া যেতে পারে তবে বরফের টুকরা মাড়ির জন্য ক্ষতিকারক এবং গলায় আটকে যাওয়ারও সম্ভবনা থাকে। তাই মাঝে মাঝে বরফের ছোট টুকরা দেওয়া যেতে পারে।
কুকুরের মনোযোগ অন্যদিকে ফিরিয়ে নেওয়া:
কুকুরের মনোযোগ অন্যদিকে ফিরিয়ে নেওয়া এ সময় তার জন্য সহায়ক। এসময় যদি মন খারাপ করে থাকে অথবা ওর দিকে মনোযোগ না দেওয়া হয় তবে সে আরও বেশি ব্যথায় আক্রান্ত হবে। তার সাথে বিভিন্ন ধরনের খেলা খেলতে হবে এবং তাকে একটু বেশি সময় দিতে হবে যাতে সে ব্যথার কথা ভুলে থাকতে পারে।
সামাজিক হওয়ার Training দিতে হবে:
এসময় কুকুরকে সামাজিক হওয়ার Training দিতে হবে। তার এই সময়ে তার পাশে থেকে তাকে ভালবেসে আদর করে সামাজিক হওয়ার Training দিতে হবে। এ সময়টাই Training দেওয়ার সবচেয়ে উপযুক্ত সময়।
মেডিসিন এর মাধ্যমে
এসময় মাড়িতে ব্যথা অনুভব করায় কুকুর অনেক সময় অস্থিরতা প্রকাশ করে। তখন একজন vet এর পরামর্শে ব্যথামুক্ত করার ওষুধ দেওয়া যেতে পারে।
অনেক কুকুরের এসময়ে মন খারাপ থাকে, অস্বাভাবিক ও আক্রমণাত্মক আচরণ করে। মাঝে মাঝে ব্যথায় কিছুই করতে চায় না। সুতরাং এ সময়ে ধৈর্য না হারিয়ে তাকে প্রচুর সময় দিতে হবে এবং বন্ধুর মত তার সাথে থেকে তাকে ভালবাসতে হবে।