বিড়ালের দাঁত পরিষ্কার রাখার প্রয়োজনীয়তা এবং পরিষ্কার করার নিয়ম
দাঁত পরিষ্কারের প্রয়োজনীয়তা
বিড়ালের নিয়মিত দাঁত পরিষ্কার করা অত্যন্ত জরুরী। ১ বছর বয়স থেকে বিড়ালের দাঁতের পরিচর্যা শুরু করা উচিৎ কারন প্রায় ৭০% বিড়ালের ১ বছর বয়সের পর থেকেই দাঁতের বিভিন্ন সমস্যা দেখা দেয়। দাঁত পরিষ্কার না করলে যে সমস্যা গুলো দেখা দেয়-
১. দাঁত হলদেটে হয়ে যায়।
২. মাড়ি ও দাঁতের বিভিন্ন রোগ দেখা দেয়।
৩. দাঁতের মাড়ি লাল অথবা ফ্যাকাসে হয়ে যায়।
৪. দাঁতের গোঁড়ায় পাথর অথবা প্লাক জমে।
৫. দাঁতে ব্যথা হয় এবং দাঁত পড়ে যায়।
৬. নিঃশ্বাসে দুর্গন্ধ হয়।
এসব রোগের হাত থেকে মুক্তি পেতে দাঁত নিয়মিত পরিষ্কার করতে হবে। কিন্তু বিড়াল সহজে তার মুখের ভেতর আঙুল অথবা ব্রাশ ঢোকাতে দিতে চায় না। তাই কিছু কৌশল অনুসরন করুন পোষা বিড়ালটির দাঁত পরিষ্কার করার জন্য।
বিড়ালের দাঁত পরিষ্কার করবেন যেভাবে
১. প্রথমে বিড়াল যাতে মুখে আঙুল অথবা ব্রাশ ঢুকাতে দেয় তার ব্যবস্থা করতে হবে। আঙুলে টুনা/মুরগির স্বাদ ও গন্ধযুক্ত লিকুইড অথবা জেল মাখিয়ে নিন যাতে বিড়াল treat মনে করে। এরপর আস্তে আস্তে তার মাড়িতে আঙুল ঘষুন। কয়েকবার এভাবে করার পর বিড়াল সহজে মুখে হাত দিতে দিবে।
২. এরপর আঙুলে গজ পেঁচিয়ে লিকুইড অথবা জেল মাখিয়ে নিন। এখন আস্তে আস্তে আঙুল ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে দাঁতের ওপর ঘষুন। একটু সাবধানে করবেন যাতে না কামড়ায়।
৩. এরপর টুথব্রাশ ব্যাবহার করতে পারবেন। বাজারে বিভিন্ন ফ্লেভারের বিড়ালের টুথপেস্ট কিনতে পাওয়া যায়। এইসব ফ্লেভার বিড়াল খুব পছন্দ করে এবং সহজেই ব্রাশ করতে দিবে।
৪. প্রথমে শুধু সামনের বড় দাঁত দুইটি ব্রাশ করুন, আস্তে আস্তে মাড়ির দাঁতগুলো সহ ব্রাশ করুন।
৫. ব্রাশ করার সময় নিচুস্বরে খুশি হয়ে বিড়ালের সাথে কথা বলুন। এমন কিছু করবেন না যাতে বিড়াল ভয় পায়। তাকে বিভিন্নভাবে উৎসাহী করুন যাতে পরবর্তীতে সে ব্রাশ করার সময় আপনাকে সহয়তা করে।