এটি একটি অতিপুষ্টি জনিত সমস্যা। বিড়ালের ক্ষেত্রে প্রায়ই এটি দেখা যায়। স্থূলতার কারনে বিড়াল অনেক মারাত্নক রোগে আক্রান্ত হতে পারে। যেমনঃ বিড়ালের আয়ু কমে যাওয়া, আর্থারাইটিস(বাত-ব্যাথা বা জয়েন্টের ব্যাথা), হজমের অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের সমস্যা, শ্বাস-প্রশ্বাসের অঙ্গের সমস্যা, ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ এবং ক্যান্সারের মত মারাত্নক রোগ। যেকোনো বয়সের বিড়ালের এটি হতে পারে। সাধারনত মধ্যবয়সী ও ৫ থেকে ১০ বছরের বিড়ালের মধ্যে দেখা যায়। জন্মবিরতি করন করানো এবং সবসময় ঘরে থাকা বিড়ালেও এটি দেখা যায়।
স্থুলতার কারণঃ
বিভিন্ন কারনে বিড়ালের স্থূলতা হতে পারে। এরমধ্যে প্রয়োজনের তুলনায় বেশী খাওয়ানো, অতিরিক্ত পুষ্টিকর খাবার খাওয়ানো, অস্বাস্থ্যকর খাবারের অভ্যাস করানো, বারবার খাওয়ানো, ব্যায়াম না করানো, বয়স বৃদ্ধির সাথে যখন বিড়ালের স্বাভাবিক চলাফেরা কমে যাওয়া। এছাড়াও থাইরয়েড গ্রন্থির অস্বাভাবিক কম কার্যকারিতা, অগ্নাশয়ের টিউমার, অতিরিক্ত করটিসল জনিত গ্রন্থির সমস্যা, জন্মবিরতি করন করানো।
লক্ষন সমূহঃ
১) ওজন বৃদ্ধি
২) শরীরের অতিরিক্ত ফ্যাট
৩) ব্যায়াম করতে না পারা বা ব্যায়ম করতে না চাওয়া
৪) শরীরের অবস্থা মূল্যায়নের পর বেশী স্কোর করা
চিকিৎসাঃ
বিড়ালের খাবারের ক্যালরী এবং ফ্যাটের পরিমানের দিকে ভালোমত খেয়াল রাখতে হবে। আক্রান্ত বিড়ালকে সঠিক পরিমানের ক্যালরি এবং ফ্যাট যুক্ত খাবার দিতে হবে। ক্যাট ফুড সপগুলোতে এই ধরনের খাবার পাওয়া যাবে। এইভাবে ধীরে ধীরে অতিরিক্ত ওজন কমানো যাবে। বিড়ালকে প্রয়োজনীয় পরিমান খেলাধুলা এবং ব্যায়াম করাতে হবে।
প্রয়োজনে একজন অভিজ্ঞ Vet এর সাহা্য্য নিতে হবে।