অনেক সময় রাস্তায় orphan বিড়ালের বাচ্চা দেখা যায়। খুব ছোট বাচ্চা এখনও চোখ ফোটেনি এমন বাচ্চা পেলে অনেকে ভয় পান তার দায়িত্ব নিতে। কিন্তু সঠিকভাবে তার পরিচর্যা করলে সে একদিন হয়ে উঠতে পারে আপনার পরম বন্ধু। তাই জেনে নিন কিভাবে একটি orphan বাচ্চার পরিচর্যা করবেন।
বয়স ৪ সপ্তাহের নিচে হলে-
১) একটি সুতির নরম কাপড় কুসুম গরম পানিতে ভিজিয়ে ভাল করে শরীর মুছে দিতে হবে। শুকনো কাপড় দিয়ে ভালভাবে শরীর মুছে শুকিয়ে দিতে হবে। এরপর তোয়ালে অথবা কাপড়ের মধ্যে করে গরম কোন স্থানে রাখতে হবে। ছোট বাচ্চার জন্য উষ্ণস্থান খুবই প্রয়োজন কারন বেশি ঠাণ্ডা এরা সহ্য করতে পারে না।
২) এরপর তাকে দুধ খাওয়াতে হবে। বাসায় মা বিড়াল যে বাচ্চাদের দুধ খাওয়ায় এমন বিড়াল থাকলে তার কাছে তাকে দিতে হবে। আর যদি এমন বিড়াল না থাকে তাকে দুধ খাওয়ানোর ব্যবস্থা করতে হবে। বিভিন্ন pet shop এ orphan বিড়ালের বাচ্চাদের জন্য kitten formula এবং তা খাওয়ানোর জন্য উপযোগী ছোট feeder কিনতে পাওয়া যায়। তবে তার আগে একজন অভিজ্ঞ পশু চিকিৎসকের সাথে অবশ্যই যোগাযোগ করে নিতে হবে।
৩) এসবের ব্যবস্থা না করতে পারলে baby feeder/dropper/syringe এ করে দুধ খাওয়াতে হবে। মনে রাখবেন খাওয়ানোর সময় বাচ্চাটিকে উপুড় করে মুখ তুলে খাওয়াতে হবে(ছবির মত করে)। গরুর তরল দুধ অথবা পাউডার দুধ হটাৎ করে খাওয়ালে বিড়ালের বাচ্চার ডায়রিয়া হয়ে যেতে পারে। তাই সমান পরিমান পানির সাথে(১কাপ তরল দুধ=১কাপ পানি এই অনুপাতে) মিশিয়ে, পাউডার হলে খুব পাতলা করে গুলিয়ে তারপর বাচ্চাটিকে খাওয়াতে হবে। চার সপ্তাহ বয়স পর্যন্ত প্রতি ২-৩ ঘণ্টা পরপর বাচ্চাটিকে খাওয়াতে হবে।
Toilet করানোর নিয়ম –
একদম ছোট বাচ্চা একা একা poop ও pee করতে পারে না । মা বিড়াল জিহবা দিয়ে বাচ্চাদের পেটে ও মলদ্বার(anus) এর আশেপাশে চাটে যা তাদের poop ও pee করতে সাহায্য করে। তাই প্রতিবার খাওয়ানোর পর তাকে pee করাতে হবে। একটি নরম কাপড় অথবা তুলো কুসুম গরম পানিতে ভিজিয়ে তার পেট থেকে anus পর্যন্ত অর্থাৎ ওপর থেকে নিচ পর্যন্ত (ছবির মত করে) মুছতে হবে এবং হালকা চাপ দিতে হবে। এভাবে ২-৩বার মুছে দিলে বিড়াল pee করবে এবং এভাবেই দিনে ১বার poop করাতে হবে।
এরপর অবশ্যই তার check-up এর জন্য একজন অভিজ্ঞ Veterinary – সাথে যোগাযোগ করবেন।
বয়স ৪-১২ সপ্তাহ হলে-
প্রথমে তাকে এনে কুসুম গরম পানিতে গোসল করাতে হবে। মাথার উপরে পানি ঢালা যাবে না, শুধু শরীরে পানি ঢালতে হবে। হাত ভিজিয়ে মাথা মুছে দিতে হবে এবং খেয়াল রাখতে হবে যেন কানে পানি না যায় তবে শীতের দিন হলে গোসল করানো যাবে না। তারপর তাকে ভালভাবে মুছে শুকাতে হবে যাতে ভেজা না থাকে। এরপর তোয়ালে অথবা নরম কাপড়ের ভেতর তাকে রাখতে হবে যাতে সে গরম থাকে এবং আরাম পায়। গায়ে flea থাকলে হাত দিয়ে তুলে ফেলে দিতে হবে।
এসময় বিড়ালের বাচ্চা দুধের পাশাপাশি অন্য খাবার খেতে পারে। Kitten Food অথবা নরম কোন খাবার যেমন- কাঁটা ছাড়া মাছ, থেঁতলানো সেদ্ধ মাংস ইত্যাদি খেতে দিতে হবে। এ সময় দিনে ৩-৫ বার বাচ্চাকে খাওয়াতে হবে এবং ধীরে ধীরে দুধ খাওয়ানো কমিয়ে আনতে হবে। তবে ৮-১০ সপ্তাহ বয়সের পরে আর দুধ খাওয়ানোর প্রয়োজন নেই।
বয়স ১২ সপ্তাহের বেশি হলে-
বাসায় এনে উপরোক্ত নিয়মে গোসল করাতে হবে। এরপর খাওয়াতে হবে। এসময় বিড়াল Cat Food , ভাত, মাছ, মাংস ইত্যাদি সব ধরনের খাবার খেতে পারে। যেহেতু বিড়াল মাংসাশী প্রাণী তাই মাংস খাওয়ানই সবচেয়ে ভাল। এসময় তাকে দিনে ২-৩বার খাওয়াতে হবে। তিন মাস বয়সের পরে পশু চিকিৎসকের পরামর্শে তাকে deworming করাতে হবে এবং vaccine দিতে হবে।
ভাই, আমার কিটেন ফরমুলার ব্যবস্থা করা সম্ভব হচ্ছে না। সে ক্ষেত্রে কি করার? আমি কি পানি মিশিয়ে গরুর দুধ খাওয়াব, নাকি অন্য কোনো উপায় আছে?
আপনি ১কাপ পানির সাথে ১ কাপ দুধ মিশিয়ে ছট একটি ফিটারে খাওয়াবেন।
ধরেন ৫সপ্তাহ বিড়ালের বয়স, কানে ময়লা সেই অবস্থায় কিভাবে ময়লা পরিষ্কার করব