যখন হজমে সহায়ক রস বিড়ালের অগ্নাশয় থেকে পেটে চলে আসে তখন বিড়াল পেটের ভিতর জলুনী অনুভব করে। ধীরে ধীরে এটি অগ্নাশয়ের ক্যান্সারেও পরিনত হতে পারে। অধিকাংশ ক্ষেত্রে বিড়ালের খাবারের ফ্যাট এর জন্য দায়ী।
কারনঃ
হজমে সহায়ক রসসমূহ পেটে চলে আসলে নির্গত রসসমূহ অগ্নাশয়ের সাথে সাথে বিড়ালের শরীরের অন্যান্য অঙ্গের ফ্যাট এবং প্রোটিন ভাঙ্গতে শুরু করে। এর রাসায়নিক ক্রিয়ার কারনে বিড়াল অগ্নাশয়ের জলুনী অনুভব করে।
লক্ষন সমূহঃ
১. খাবার খাওয়ার অনিহা
২. হজমে সমস্যা
৩.ওজন কমে যাওয়া
৪. জ্বর
৫. দূর্বল হয়ে যাওয়া
৬. পেটের ব্যাথা
চিকিৎসাঃ
যদি সাধারন অগ্নাশয়ের জলুনী হয় তাহলে বিড়ালকে তার খাবারের পরিবর্তনের মাধ্যমে অতি সহজেই সুস্থ করা সম্ভব। যেহেতু সাধারন অগ্নাশয়ের জলুনী হয় খাবারের ফ্যাটের কারনে তাই বিড়ালকে তখন কম ফ্যাট যুক্ত খাবার দিতে হবে। এবং সেই সাথে খাবার অবশ্যই নরম, কম আঁশযুক্ত এবং সহজেই হজম হয় এমন হতে হবে।
আর যদি বিড়াল অতিদ্রুত সুস্থ না হয় সেক্ষেত্রে বিড়ালকে নিয়ে দ্রুত চিকিৎসকের কাছে যেতে হবে। পরীক্ষা নিরীক্ষার পর যদি অগ্নাশয়ের টিউমার জনিত ক্যান্সার নির্ণয় হয় তখন আংশিক বা সম্পূর্ণ অগ্নাশয় অপসারনের মাধ্যমে চিকিৎসা করাতে হবে।