মানুষ যুগযুগ ধরে শখের বশে পোষাপ্রাণী পালন করে আসছে। তবে অনেকে বিড়াল পালন করে ইঁদুরের আক্রমন থেকে জিনিসপত্র রক্ষা করার জন্য এবং কুকুর পালন করেচোর ডাকাত থেকে বাড়িঘরকে সুরক্ষিত রাখার জন্য। কিন্তু কুকুরবিড়াল যে স্বাস্থ্যর জন্যও উপকারী তা অনেকেরই অজানা।একটি গবেষণায় দেখা গেছে, বেশিরভাগক্ষেত্রে আপনার পোষাপ্রাণীটি আপনাকে বিনোদনতো দেয়ই ,আপনাকে নিঃস্বার্থভাবে ভালবেসে আপনাকে দীর্ঘায়ু ও করে তুলে।
বেশিরভাগ Pet Owner বা পোষাপ্রাণীর অভিভাবক তার fur baby দের সাথে খেলতে খেলতে অনেক আনন্দিত হয়ে পড়ে এবং তাদের নিজেদের অজান্তে শারীরিক ও মানসিকভাবে অনেক উপকারিতা পায়।
The American Heart Association এর একটি গবেষণায় পাওয়া গেছে-
১) pet owners দের হৃদরোগের ঝুঁকি কম থাকে এবং তারা দীর্ঘায়ু পায়।
২) যাদের পোষা প্রাণী নেই তাদের চেয়ে Pet Owners রা কম হতাশায় ভোগে।
৩) যাদের পোষা প্রাণী আছে তাদের blood pressure ও cholesterol levels কম থাকে।
৪) Heart attack এর রোগীর পোষাপ্রাণী থাকলে তার পুনরায় Heart attack এর ঝুঁকি ৪০% কমিয়ে থাকে।
৫) বিড়াল purring এর মাধ্যমে 20-140Hz vibration তৈরি করতে পারে যা অনেক রোগের চিকিৎসা।
পোষাপ্রাণী থাকার উপকারিতাগুলো নিচে আলোচনা করা হল-
১) বেশি বেশি ব্যায়াম হয় – পোষাপ্রানির সাথে খেলতে খেলতে আপনার নিজের অজান্তেই অনেক ব্যায়াম হয়ে যায়। তাছাড়া কুকুর বিড়ালকে হাঁটানোর প্রয়োজন হয়,তার সাথে সাথে আপনার নিজেও হাঁটা হয়ে যায়। ব্যায়াম করা এবং নিয়মিত হাঁটা দুটোই আপনার স্বাস্থ্যর জন্য উপকারী।
২) একাকীত্ব কমে- পোষাপ্রাণীর সঙ্গ আপনার একাকীত্ব কমিয়ে দেবে। সে সবসময় আপনার সাথে থাকবে এবং আপনাকে সঙ্গ দিবে।
৩) ক্লান্তি ও মানসিকচাপ কমে – সারাদিন কাজকর্ম করার পর কুকুরবিড়ালের সাথে একটু খেলাধুলা করলে এবং তাদের খেলা দেখলে আনন্দ পাওয়া যায় যা আপনার stress অনেকটা কমিয়ে আপনাকে প্রফুল্ল করে তোলে।
৪) দুশ্চিন্তা ও হতাশা কমে – বিভিন্ন কারনে মানুষ অনেক সময় হতাশ হয়ে পরে। পোষাপ্রাণী থাকলে তাদেরকে সময় দিলে অনেকটা সময় কেটে যায় ,তাদের কাজকর্ম দেখলে হতাশা অনেকটাই কমে যায়।
৫) ক্রোধ কমায় এবং ধৈর্যশক্তি বাড়ায় – অনেক সময় মানুষ রেগে যায় তখন আদরের পোষাপ্রানিকে দেখলে রাগ অনেকটা কমে জায়।এরা ক্রোধ কমিয়ে মানুষের ধৈর্যশক্তি বাড়িয়ে দেয়।
৬) নতুন মানুষের সাথে পরিচয়ে সাহায্য করে – অনেকে পোষা প্রাণী দেখলে উৎসাহিত হয়ে দেখতে চায় এভাবে নতুন নতুন মানুষের সাথে পরিচয়ের সুযোগ তৈরি হয়।
৭) রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়- ছোট বাচ্চাদের যদি ছোটবেলা থেকে পোষাপ্রাণীর সাথে বড় করা হয় তাহলে তাদের allergy, asthma ইত্যাদি রোগ হওয়ার সম্ভবনা কমে যায়।
৮) নিরাপত্তা দেয় – বাড়িতে কুকুর থাকলে চোর ডাকাতের হাত থকে নিরাপদে থাকা যায়।বাচ্চারা কখনও একা থাকলে কুকুর তাদের পাহারা দিয়ে বিপদআপদ থেকে দূরে রাখে।
৯) মানবিক গুনাবলি বৃদ্ধি করে – ঘরে পোষাপ্রাণী থাকলে বাচ্চারা দায়িত্ববান, ধৈর্যশীল, মহানুভব হতে শিখে।