কুকুরের জলাতঙ্ক
কুকুরের সব রোগের মধ্যে জলাতঙ্ক সবচেয়ে পরিচিত এবং ভয়ঙ্কর রোগ। এটি একটি প্রাণঘাতী রোগ। এই রোগের ভাইরাস শেয়াল, রেকুন, বাদুর ও ইঁদুর বহন করে থাকে। এই প্রাণীগুলো থেকে কুকুরের মধ্যে এই রোগ ছড়ায়। আবার জলাতঙ্কে আক্রান্ত কুকুরের কামড়ে অথবা আঁচড়ে মানুষের এবং অন্য প্রাণীরও এই রোগ হয়ে থাকে। ভাইরাসটি শরীরে প্রবেশের পরে মস্তিস্ক পর্যন্ত ছরিয়ে পরে। কুকুরের ক্ষেত্রে ৩-৮ সপ্তাহ ও সময় লাগতে পারে এবং আস্তে আস্তে এ লক্ষনগুলো প্রকাশ পায়। তাই এই লক্ষনগুলো দেখলেই কুকুরকে পশু চিকিৎসক দ্বারা পরীক্ষা করাতে হবে। এ রোগে আক্রান্ত কুকুর খুব বেশিদিন বেঁচে থাকতে পারে না। কুকুরের এই রোগ হলে তার কোনও চিকিৎসা নেই কিন্তু প্রতিষেধক আছে। কুকুরকে vaccine / প্রতিষেধক দেওয়ার মাধ্যমে এই রোগ থেকে বাঁচানো যায়। তাই সচেতনতার মাধ্যমেই এই রোগের হাত থেকে রক্ষা পাওয়া সম্ভব।
জলাতঙ্কের লক্ষণসমূহ –
১) জ্বর আসা কিংবা প্যারালাইসিস হয়ে যাওয়া
২) হটাৎ আচরণে পরিবর্তন হওয়া অথবা অস্বাভাবিক আচরণ করা
৩) হটাৎ হিংস্র হয়ে ওঠা বা কামড় / আঁচর দিতে চাওয়া
৪) অন্যরকমভাবে ডাকা
৫) মুখ দিয়ে লালা ঝরা
৬) ঘন ঘন শ্বাস নেওয়া
৭) পানি দেখে ভয় পাওয়া এবং পানি পান বন্ধ করে দেওয়া
জলাতঙ্কের প্রতিষেধক –
শুধুমাত্র rabies vaccine/ জলাতঙ্কের টিকার মাধ্যমে এই রোগের প্রতিরোধ করা সম্ভব। বর্তমানে সব পশু চিকিৎসকের কাছ থেকেই এই টিকা দেওয়া যায়।