অনেক সময় ছোট বিড়ালের বাচ্চা অযথাই হাতে কামড়ায় ও নখ দিয়ে আঁচর দেয়। আপনাকে ক্ষতি করার উদ্দেশ্যে বিড়াল এমন করেনা বরং আপনাকে বন্ধু ভেবে আপনার হাত নিয়ে খেলতে চায়। কখনো কখনো বাচ্চাটি বড় হওয়ার সাথে সাথে এ অভ্যাস চলে যায় কিন্তু না গেলে এটা একটা বড় সমস্যার কারন হয়ে দাঁড়ায়।
বুঝতে হবে বিড়ালটি কেন কামড়াচ্ছে-
• প্রথমে আপনাকে বুঝতে হবে আপনার বিড়ালটি কেন কামড়াচ্ছে। অনাথ বিড়াল যারা মানুষের হাতে পালিত হয়, তারা মানুষকে কম ভয় পায় এবং সে খেলার ছলে হাতে কামড় দিতে চায়।
• অনেক সময় খেলতে খেলতে বিড়াল উত্তেজিত হয়ে যায় এবং যা পায় তাই কামড়ায়। এটাকে সে খেলারই একটি অংশ মনে করে।
• লক্ষ্য করতে হবে যে বিড়ালটি অসুস্থ কিনা। অসুস্থ হলে বা শরীরের কোন স্থানে ব্যথা থাকলে, সেখানে হাত দিলে বিড়াল ব্যথা পায় এবং কামড় দিতে চায়।
• লক্ষ্য করতে হবে যে বিড়ালটি রেগে আছে কিনা অথবা কোন কারনে ভয় পেয়েছে কিনা। রেগে গেলে ও ভয় পেলে এদের লেজ ও পিঠের লোম দাড়িয়ে যায়। কান দুটি পেছন দিকে নিয়ে যায় এবং মুখ দিয়ে গরগর আওয়াজ করে।
কামড় প্রতিরোধ করতে যা করতে হবে-
• মনে রাখতে হবে যে বিড়ালকে কখনই ভয় দেখানো যাবে না, কিছু দিয়ে আঘাত করা যাবে না, জোরে চিৎকার করা যাবে না।এতে তারা ভয় পেয়ে যায় এবং রেগে যায়।
• খেলার সময় যখন কামড় দিবে তখন হাত সরিয়ে নিয়ে ৫-১০ মিনিটের জন্য খেলা বন্ধ করে দিন। ওকে পেছনে রেখে বসে থাকুন বুঝতে দিন যে আপনি তার সাথে খেলতে আগ্রহী নন।
• কামড় দেওয়ার সাথে সাথে হাত সরিয়ে নিয়ে একবার হাতে তালি দিন এবং “না” বলুন। খুব জোরে এবং বিড়ালের মুখের কাছে তালি দিবেন না।এতে বিড়াল ভয় পেয়ে যেতে পারে।
• আদর করার সময় কামড় দিলে আদর করা বন্ধ করে দিন এবং সরে যান।
• কোলে বসে কামড়াতে থাকলে আস্তে করে নামিয়ে দিন এবং তাকে সম্পূর্ণ একা রেখে রুম থেকে বের হয়ে যান। যতক্ষণ না সে শান্ত হবে আপনি ফিরে আসবেন না।
• বিড়ালের সাথে কখনো হাত দিয়ে খেলবেন না। তাকে নতুন নতুন খেলনা কিনে দিবেন এবং সেই খেলনা দিয়ে তার সাথে খেলবেন।
• আপনার আঙুলে কামড় দিলে তা টেনে ছুটানোর চেষ্টা না করে বরং ওর দিকেই আস্তে করে ঠেলে দিন। এটা বিড়ালের খুবই অপছন্দ এবং কামড়ানো বন্ধ করে দিবে।
• কোন কিছু কামড়ানোর পর অন্তত ২০ মিনিটের মধ্যে কোন খাবার দিবেন না, এটাকে তারা পুরস্কার হিসেবে নিতে পারে এবং বেশি করে কামড়াতে পারে।
• আপনার বিড়াল neuter করা না থাকলে মাঝে মধ্যে aggressive হয়ে পরে আপনাকে কামড়াতে ও খামচি দিতে চাইবে। তাই ৫মাস বয়সের পর অবশ্যই neuter করে ফেলতে হবে।
• রেগে গেলে শান্ত হওয়ার জন্য সময় দিতে হবে এবং তখন তাকে ছোঁয়া বা ধরা যাবে না।
• বিড়ালকে ছোট বেলা থেকেই প্রশিক্ষণ দিতে হবে যাতে বড় হয়ে সে যেন অযথা মানুষকে কামড় অথবা আঁচড় না দেয়।
akta proshno chilo
Amr biral amar bon ke pray 7 bar kamor dise er por theke amar choto bon o shower nite chai na onk kanna kati kore amar choto bon er boyosh 1 year 50 day
Ai shomoshar jonno amr koronio ki
Kindly bolben plzz🥺🥺
আপনার বোনের হয়ত জলাতংক রোগ হইছে।