বিড়াল অথবা কুকুর অনেক কারনেই মানুষকে আক্রমন করতে পারে, তাই বলে কুকুর পাগল হয়ে গিয়েছে অথবা র্যবিসে আক্রান্ত এমন না। অযথা প্রানিদের জ্বালাতন করা, মারা, মা কুকুরের বাচ্চাদের বিরক্ত করা উচিৎ নয়। দুর্ঘটনাবশত কামড় অথবা আঁচর লেগে গেলে কিছু প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে নেওয়া উচিৎ।
* প্রথমে কামড়ের স্থানটি একটি পরিস্কার কাপড় অথবা তোয়ালে দিয়ে চেপে ধরে রক্ত পড়া বন্ধ করতে হবে।
* তারপর ভালভাবে সাবান (Detergent/ Povidone Iodine)দিয়ে জায়গাটি ধুতে হবে। অন্তত ১৫ মিনিট পানি ঢালতে হবে এতে করে র্যবিস এর জীবাণু থাকলে সেটা কমে যাবে।
* পালিত এবং ভ্যক্সিন করা কুকুর বিড়াল কামড় অথবা আঁচর দিলে ভ্যক্সিনের প্রয়োজন হয় না। কিন্তু যেসব কুকুর বিড়াল কাঁচা মাছ মাংস খায় অথবা শিকার ধরে, তাদের দাঁতে, লালায় এবং নখে জীবাণু থাকে এবং আপনার ডায়াবেটিস এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম থাকলে ঐ জায়গাটি ইনফেকশন হয়ে যাবে। তাই সাবান দিয়ে ধুয়ে অ্যান্টিবায়টিক মলম লাগাতে হবে। যে কোন ফার্মেসি থেকে টিটেনাস ভ্যক্সিন নিয়ে নিতে পারেন প্রয়োজন হলে।
* সাধারনত কুকুরের মধ্যেই র্যবিস দেখা যায়, খুব কম সংখ্যক বিড়াল র্যবিসে আক্রান্ত হয়। আক্রান্ত প্রাণীর লালার মাধ্যমেই মুলত র্যবিস ছড়ায়। যদি প্রাণীটি র্যাবিস আক্রান্ত হয় তাহলে তার মুখ দিয়ে লালা পরবে, সবাইকে কামড়াতে চাইবে, পানি খেতে চাইবে কিন্তু খেতে পারবে না এবং লক্ষনগুলো প্রকাশ হওয়ার ৩-৭ দিনের মধ্যে মারা যাবে। সুতরাং রাস্তার কুকুর, বিড়াল, বেজী অথবা বাদুর কামড় দিলে দেরি না করে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে অ্যান্টি-র্যবিস ভ্যাক্সিন নিয়ে নেওয়া উচিৎ।
ভাক্সিন কোথায় দিবেনঃ
# মানুষের ভ্যক্সিনঃ কুকুরবিড়াল কামড় দিলে যাবেন “মহাখালি সংক্রামক ব্যাধি হাসপাতাল, ঢাকা”(মহাখালি রেইলগেইট এর কাছে ৭ তলা ভবন), এখানে সরকারিভাবে মাত্র ১০ টাকা টিকেট কেটে Anti Rabies Vaccine দিতে পারবেন, এর ৪টা ডোজ দিতে হয়। এর মেয়াদ থাকে ৫ বছর পর্যন্ত। আরেকটি ইনজেকশন দিবে যেটি কামড়ের স্থানে দেয়া হয়, এটা ফার্মেসি থেকে কিনতে হয় দাম ১৫০০-২০০০ টাকা। প্রয়োজনে ডাক্তার সাথে অন্যান্য ওষুধ দিয়ে দিবে।
# কুকুর বিড়ালের ভ্যাক্সিনঃ Rabies এ আক্রান্ত পশুর কামড়ে আরেকটি পশু অথবা মানুষ আক্রান্ত হতে পারে, সুতরাং র্যাবিসে আক্রান্ত হওয়ার আগেই আপনার পোষা প্রানিকে Rabies Vaccine দিন। এর মূল্য ৩০০-৫০০টাকা। যেকোনো ভেটেরেনারি ডাক্তারের কাছে এই ভ্যক্সিন পাওয়া যায়।
কুকুর বিড়াল মানুষের সঙ্গ অনেক পছন্দ করে এবং সহজেই পোষ মানে। এরা সহজে মানুষের ক্ষতি করে না,কিন্তু নিজেকে বাঁচানোর জন্য ও অনেক সময় কামড় এবং আঁচর দিয়ে বসে। তাই এদের মেরে ফেলাই সমাধান নয়, পোষা প্রানির সাথে সাথে রাস্তার কুকুর বিড়ালকেও ভ্যক্সিন করান, নিরাপদ থাকুন।
good
Need more information, But nice…
thank you so much for this info