আপনি কেন পোষা প্রাণী হিসেবে কুকুর কে পছন্দ করবেন?
সেই আদিমকাল থেকে গৃহপালিত প্রাণীর মধ্যে কুকুরের সঙ্গে মানুষের একটি ভালো বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক রয়েছে। প্রায় ১৫ হাজার বছর আগে থেকে মানুষের শিকারের সঙ্গী হওয়ার মাধ্যমে এরা গৃহপালিত পশুতে পরিণত হয়। বিশ্বস্ত ও প্রভুভক্ত হওয়ার কারনে কুকুরের সুখ্যাতি রয়েছে যুগ যুগ ধরে। এমনকি নিজের জীবন বাজি রেখে মালিকের জীবন বাঁচাতে দেখা গেছে অনেক কুকুরকে। পাশ্চাত্য দেশে এবং তাদের সমাজে কুকুরের অনেক কদর রয়েছে। কিন্তু এখন আমাদের দেশেও বেশ কুকুর পালন করতে দেখা যায়। শুধুমাত্র উচ্চবিত্ত নয়, মধ্যবিত্তদের মাঝেও বিভিন্ন জাতের দেশি বিদেশি কুকুর পালন করতে দেখা যায়। মূলত কুকুর পালনের কিছু সুবিধা রয়েছেঃ
১। কুকুর এতটাই প্রভুভক্ত যে আপনার বিপদের সময় আপনাকে ছেড়ে যাবে না বরং আপনাকে সাহায্য করতে তার জীবন দিয়ে দিতে প্রস্তুত থাকবে।
২। বাড়িতে অপরিচিত মানুষ, চোর, ডাকাত এলে কুকুর সবার আগে আপনাকে সতর্ক করে দিবে। এতে করে আপনার সম্পদ রক্ষা পাবে।
৩। ইঁদুর, ছুঁচোর হাত থকে আপনার জিনিসপত্র রক্ষা হবে।
৪। বাড়িতে যারা পোষা প্রাণী লালন-পালন করেন তাদের হূদরোগে আক্রান্ত হবার ঝুঁকি স্বাভাবিকের চেয়ে কম। আর এমন একটি সুখবর দিয়েছে মানুষের হার্ট নিয়ে কথা বলা বিশ্বের সর্বোচ্চ নির্ভরযোগ্য প্রতিষ্ঠান আমেরিকান হার্ট এসোসিয়েশন। পোষা প্রাণী পালন করলে উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে থাকে এবং হার্টের জন্য ক্ষতিকর কর্টিসোল হরমোন হ্রাস করে হৃদরোগের ঝুঁকি কমে।
ড: লেভিন উল্লেখ করেছেন পোষা প্রাণীরা এতটা প্রভুভক্ত থাকে যে, যখন আপনি বাড়ি ফেরেন সেটা গভীর রাত হলেও তখন প্রাণীটি আপনাকে দেখে আনন্দবোধ করে, আপনাকে নি:শর্তভাবে ভালবাসে এবং এমনকি আপনাকে প্রত্যুষে ঘুম থেকে উঠতে উদ্বুদ্ধ করে।
৫। পোষা কুকুরের সাথে খেলাধুলা করলে আপনার ব্যায়াম হবে এবং মন ও শরীর ভালো থাকবে।
৬। একটা কুকুর আপনার একাকীত্ব, হতাশা কাটিয়ে আপনাকে রোগমুক্ত সুন্দর জীবনযাপনে সাহায্য করবে।
৭। কুকুর হতে পারে আপনার পরিবারের একটি সদস্য এবং সে একটি পরিবারের পারিবারিক বন্ধন দৃঢ় করতে সাহায্য করে।
৮। কথায় আছে কুকুর হল “Man’s Best Friend” এবং সে কখনই তার মালিকের ক্ষতি করবে না। তাই দেহরক্ষী হিসেবে অনেকে কুকুরকেই বেছে নেয়।